Saturday, February 10, 2024

ChatGPT v/s Google Gemini

 আজকে একটা মজার টেষ্ট করালম। ChatGPT এবং Google Gemini এই দুটোর মধ্যে একটা বিতর্ক প্রতিযোগীতা করলাম। দুটি টুলসের পেইড ভার্সন দিয়ে প্রথমে ChatGPT কে বল্লাম তুমি আরেকটা এআই মডেলকে টেষ্ট করার জন্য তাকে কিছু ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন করো। সেই প্রশ্নটা গুগল জেমিনির এ্যাডভান্স ভার্সনে দিয়ে তাকে বল্লাম আরেকটা মডেল তোমাকে টেষ্ট করছে ফলে তার প্রশ্নর উত্তর দিয়ে তাকে একটা ক্রিটিক্যাল কাউন্টার প্রশ্ন কর। জেমিনির উত্তর কপি করে জিপিটিকে দিয়ে বল্লাম এটার উপর রিফ্লেকশন দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতে। এভাবে চলতে থাকল অনেকক্ষন, শেষে জিপিটি একটা এরর দিয়ে রেসপন্স বন্ধ করল।


দুটি জায়ান্ট এআই মডেলের এই বাহাসে আমি যা যা দেখলাম:


# টেক্সট জেনারেট করাতে এখনো চ্যাটজিপিটি জেমিনির থেকে এগিয়ে তবে সমস্যা হল, ঘুরে ফিরে একই টাইপের কথা বার্তা।


# জেমিনির টেক্সট জেনারেশন খুব দ্রুত তবে এটির রেসপন্স খুব সংক্ষিপ্ত, অনেকসময় পরিস্কার কোন সেন্স মেক করে না। 


# ২০ মিনিট ধরে এই এক্সপেরিমেন্টে কয়েক হাজার শব্দের টেক্সট এরা তৈরি করেছে তবে বেশিরভাগই রিগোরাস না, ঘুরে ফিরে খুবই সুপারফিসিয়াল লেভেলের কথা, তবে লেখার কোয়ালিটি খুব ভাল হওয়াতে বিরাট কিছু মনে হলেও আদতে ভেতরে তেমন কোন জিনিস নেই। ফেক বা ছ্যাচড়া গবেষকদের মত এক কথা ত্যানায় পেচিয়ে আর্টিকেল বড় করার মত।


# দুই মডেলের আলোচনা যত সামনে এগোতে থাকল ততই তাদের জেনারেট করা টেক্সট অর্থহীন হতে থাকলো। এমনকি সর্বশেষ রেস্নপসটি জাষ্ট গার্বেজ লেখা, প্রচুর টেক্সট কিন্তু তার কোন প্রকৃত অর্থ নেই, সারমর্ম নেই। 


পরিশেষে, মানুষের ভার্বাল বা নন-ভার্বাল যে কোন কমিুইনকেশন যে কোন লেখাতে মানবিক ইমোশনের প্রভাব থাকে। এমনকি মানুষ একটা চিঠি লিখলেও সেটাতে ইমোশন থাকে। আর মানুষের এই ইমোশন অত্যন্ত জটিল যা এআই দিয়ে আপতত ‘তুমসে নেহি হো পায়েগা‘

Wednesday, January 24, 2024

 হাদিস জানি ও পালন করি, জীবনকে সুন্দর করি....

ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ার মোহে একটি চিরন্তন সত্য আমরা ভুলে যাই। আর তা হলো "মৃত্যু"। আমরা দুনিয়াবী সবকিছুর প্রস্তুতি নিতে অপারগ। কিন্তু যখনি পরকালের কথা আসে তখনই আমরা কেনো যেন উদাসীন হয়ে যাই। যেন এই দুনিয়ার জীবনই আমাদের সব, যেন এই দুনিয়ায় বুঝি আমাদের স্থায়ী আবাস্থল।

দুনিয়াকে জয় করতে গিয়ে আখিরাত কে ভুলে গেলে চলবে কি করে? বরং দুনিয়াকে পাথেয় করেই আখিরাতকে জয় করতে হবে।

আল্লাহ বলেন,

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الْغُرُورِ- ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্তুত পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)।

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে ? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যস্ত থাকে। (ইবনে মাজাহ)

হে আমার ভাই, আসুন! আমরা মৃত্যুর আগেই সাবধান হই। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর জান্নাতী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন- আমীন! 🤲🏻🤲🏻

Tuesday, January 23, 2024

বিশালদেহী হাতিকে মানুষ আয়ত্তে আনল কীভাবে?

 
মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয় এবং মানুষই এটা বলে। এই সেরাটা বলে তারা বুদ্ধির কারণে। সেই বুদ্ধি দিয়েই তারা বিশালদেহী হাতিকে বাগে এনেছে। হাতি তাদের বিয়ে বাড়িতে পোঁছে দেয়, ঘুরতে নিয়ে যায়, সার্কাস দেখায়, এমনকি চাঁদাবাজিও করে। কিন্তু কীভাবে?

হাতিকে বাগে আনতে প্রথমে তারা একদম শিশু অবস্থায় হাতিকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনে। তার উপর করা হয় নানা রকম অত্যাচার। এই সময় হাতি-শাবকের গলায় ও পায়ে রশি বেঁধে আটকে রেখে বিভিন্ন ডাকে সাড়া দেওয়ানো শেখানো হয়, শুঁড় দিয়ে জিনিস তোলার প্রশিক্ষণ দেয় মানুষেরা। এই ধরনের প্রশিক্ষণকে স্থানীয় ভাষায় হাদানি বলে। কোনো নির্দেশ ঠিকমতো পালন না করলে শাবককে পেটানো হয় লাঠি দিয়ে। আর অত্যাচারের ভয়ে হাতি শাবক ধীরে ধীরে তাদের সব কথা মানা শুরু করে। এই ভয় তাদের সারাজীবন থেকে যায়। ছোটবেলা থেকেই হাতিদের মাথায় এমন ভাবে ঢুকে যায় যে, তারা বড় হয়ে আর প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ফলে মুখ বুজে তারা যন্ত্রণা সহ্য করে সারাজীবনই পিঠে বোঝা বহন করে চলে। মানুষ এমনই সৃষ্টির সেরা জীব!

হাতির পিঠে চড়া কি খুব আনন্দের? তবে কেন বিয়ে করতে বরযাত্রী হাতির পিঠে চড়ে যায়? কেন নির্বাচনী প্রচার করতে হাতির পিঠে ওঠা লাগে?

হাতির শরীরের গড়ন ঘোড়া কিংবা উটের মতো না। হাতির পিঠ ভারী ওজন বহন করার জন্য উপযুক্ত না। কারণ চলার সময় তাদের মেরুদণ্ড ওঠা-নামা করে। ফলে পেছনের হাঁড়টায় নিয়মিত চাপ পড়তে পড়তে একসময় মেরুদন্ড ক্ষয়ে বা বেঁকে যায়। এতে যে হাতি হাঁটতে পারে না তা নয়, তবে তীব্র ব্যথা নিয়ে হাঁটে যেটা সে প্রকাশ করতে পারে না। আর মানুষ তাদের উপর বসে দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে শ্বশুরবাড়িতে যায়, চাঁদাবাজি করা মাহুতদের আমরা প্রায়ই রাস্তায় দেখি। হালে নির্বাচনের প্রচারণার জন্যও হাতিদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

মানুষ কত নির্মম, কত নিষ্ঠুর! তাদের নিষ্ঠুরতার কারণেই হাতি আজ একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। প্রতিনিয়ত বন কেটে আমরা তাদের আবাসন ধ্বংস করছি, রাস্তা বানিয়ে তাদের চলার রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছি।

আসুন, হাতির প্রতি এমন নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করি। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে কিছুটা দায়িত্ব তো পালন করা উচিত মানুষদের।

 

বাবার রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।হঠাৎ মনে হল একটু বাবার রুম থেকে ঘুরে আসি।অনেকদিন হল বাবার রুমে যাওয়া হয় না।বিয়ের পর থেকেই বাবার সাথে আগের মত সময় কাটানো হয় না।শুক্রবারে সময় পেলেই বউকে নিয়ে ঘুরতে চলে যায়।বাবা গেছেন কিছু ঔষধ আনতে।আমি বাবার রুমে ঢুকে দেখি রুমটা খুব এলোমেলো।খুব অগোছালো।ঠিক যেমন একটা ছোট্ট বাচ্চার রুম।বাবার বয়স হয়েছে।শরীরটারও দিন দিন অবনতি ঘটছে।আমার সাথে তার অনেকদিন কথাতো দূরে থাক তার চেহারাটাও দেখি না।সারাদিন অফিস করে রাত করে বাসায় আসি।এসে খেয়ে দেয়ে ঘুমায় পড়ি।সকালে উঠে আবার অফিসে চলে যায়।বাবাকে নিয়ে ভাবার সময় আমার নাই।আমি জুইকে ডাক দিলাম।জুই বাবার রুমে এসে বলল,

-কি হয়েছে এতো চিৎকার করছো কেনো??

-বাবার রুমটা এত অপরিষ্কার আর অগোছালো কেনো??

-তো আমি কি করবো??

-কি করবে মানে?তোমাকে না বলেছি বাবার যত্ন নিতে।

-আমি কি প্রতিদিন শুধু ওনাকে নিয়ে পড়ে থাকবো নাকি।যত্তসব।বাড়ির আরো অনেক কাজ আমাকে করতে হয়।

-তাই বলে বাবার যত্ন নিবে না।

-কেনো?ওনাকে সময় মতো খাওয়াচ্ছি।সময় মতো ঔষধ দিচ্ছি এসব কি যত্ন নেওয়া না।

আমি কিছু বলিনি আর।জানি ওকে কিছু বলে লাভ হবে না।ও এমনই।খুব জেদি।ভালোবেসে বিয়ে করেছি।তাই এসব সহ্য করতে হচ্ছে।জুই চলে গেলো রান্নাঘরে।আমি চুপচাপ বাবার ঘর পরিষ্কার করতে লাগলাম।।রুমটা পরিষ্কার করার সময় চোখ পড়লো টেবিলে রাখা খাতাটার উপর।বাবা খাতা দিয়ে কি করছে।কৌতুহল বেড়ে গেল কি আছে তা দেখার জন্য।আমি খাতাটা নিয়ে প্রথম পেইজটা খুললাম।প্রথম পেইজে লেখা আছে আমার ডায়েরি।লেখাটা পড়ে খুব অদ্ভুদ লাগলো।আমি পরের পেইজ খুলতেই দেখি।মায়ের একটা পুরানো ছবি।আর তার নিচে লেখা আছে কলিজা।বাবা মাকে অনেক ভালবাসতো।কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর বাবা খুব পাল্টে গেলেন।মা যখন মারা যায় তখন আমি ইন্টারে পড়তাম।ঐসময় বাবা খুব ভেঙে পড়েছিলেন।আমি আর আপুরা মিলে অনেক কষ্টে বাবাকে সেই কষ্টটা ভুলাতে পেরেছি।আমরা তিন ভাই-বোন।আপুরা বড় আর আমি সবার ছোট।আমার আপুরা মানে ইরা আপু আর জান্নাত আপুর বিয়ে হয়েছে দুইবছর।তারপর থেকে বাবা আর আমি একা থাকি।জুই আর আমার বিয়ে হয়েছে ৬মাস হল।বাবা অনেক আগেই তার চাকরী থেকে রিটায়ার্ড হয়েছেন।আমি পরের পেইজটা উল্টালাম।সেখানে মাকে নিয়ে লেখা অনেক কবিতা আছে।আমি সব পড়ে একটু মুচকি হাসলাম।কয়েক পেইজ উল্টানোর পর লেখা আছে,

-আজ আমার ছোট্ট ছেলেটার বিয়ে।না ছোট্ট না অনেক বড় হয়েছে।সে এখন চাকরি করে।কাব্য এখন দ্বায়িত্ব নিতে শিখেছে।আজ তার বিয়ে।মেয়ে তার পছন্দের।আমি না দেখেই হ্যা করে দিই।আমার ছেলে মেয়ের আশা আমি কোনোদিন অপূর্ণ রাখিনি।তাই তাদের পছন্দ মতো সব করেছি।জুই মা দেখতে খুব মিষ্টি।দোয়া করি তারা যেনো সুখী হয়।

এভাবে কয়েক পেইজ পড়লাম সবগুলোতেই আমাকে নিয়ে লেখা।পরের পেইজ উল্টিয়ে দেখলাম,

-কাব্য এখন খুব ব্যস্ত।নিজের শরীরটাও দিনদিন অবনতি হচ্ছে।কাব্যের সাথে আগের মতো রাতের আকাশ দেখা হয় না।চায়ের দোকানে বসে আর চা খেতে খেতে বাপ-ছেলের আড্ডা দেওয়া হয় না।সারাদিন ঘরে বসে থেকে খুব বিরক্ত লাগে।তাই বউমাকে বলেছিলাম একটা ডায়েরি কিনে দিতে।কিন্তু বউমা আমাকে বলল,

-বাবা এই বয়সে ডায়েরি দিয়ে কি করবেন??

-কিছু না।একটু লিখালিখি করতাম।

-এত টাকা দিয়ে ডায়েরি না কিনে।অল্প দামে কিছু খাতা কিনে লিখলেই তো হয়।আমি কিছু না বলে খাতা কেনার টাকা নিয়ে নিলাম।এখন খুব লজ্জা হয় বউমার কাছ থেকে টাকা খুজতে।গতমাসে ঔষুধের টাকা খুজতে গিয়ে অনেক বকা শুনতে হয়েছিল।বলেছিল,

-এত দামী ঔষুধ না খেয়ে অল্প দামী ঔষুধ খেলেই তো হয়।

আমি সেদিনও কিছু বলিনি।কিছু কিভাবে বলব।কাব্যকে বললে সে ভাববে আমি মিথ্যা বলছি।সে তো আর আমার কথা ভাবে না।সে এখন নিজের ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।আমি চাই না তার সুন্দর সংসারটাকে নষ্ট করতে।এখন যে ঔষুধগুলো খাচ্ছি সেগুলো খুব সস্তা।তাতেও কষ্ট নাই।ছেলের সাথে আছি এইটাই যথেষ্ট।তবে বউমা আমাকে একটুও সহ্য করতে পারে না।আমি কিছু বললেই সে বিরক্ত হয়।কোমরের ব্যাথাটা বেড়েছে।বউমাকে ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে কিছু টাকা চাইতে গেলে বউমা বলে,

-সব ঢং।

তাই আর কিছু বলিনি।বাধ্য হয়ে এই মাসের ঔষুদের টাকাটা বাঁচিয়ে রেখেছি।ডাক্তার দেখাতে যাবো বলে।কালকে বউমা বলেছিল আমি নাকি তাদের সংসারের বোজা।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজকে ডাক্তার দেখাতে যাবো।সেখান থেকে বাসায় এসে শেষবারের জন্য ছেলের মুখটা দেখে কালকেই বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।

আমি আর পড়তে পারছিনা।চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে।যেই বাবা আমাকে সামান্য কষ্ট কোনোদিন পেতে দেই নিই।সেই বাবা আজ হাজারো কষ্ট ভোগ করছে।জুই এতটাই নিচ।ছিঃ নিজেকে ওর স্বামী বলতেই লজ্জা হচ্ছে।আমি চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।কিছুক্ষণ পর বাবা ফিরে আসলো।এসে আমাকে দেখে বলল,

-বাবা আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

-কি বাবা??

-আমি কালকে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো।আমাকে কি অফিসে যাওয়ার সময় আশ্রমে নামিয়ে দিবি।

-আচ্ছা বাবা।

কথাটি বলে বাবা চলে গেলো।আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিল না।আমার পাশে জুই ছিল।সে খুশি হয়েছে।আমাকে বলল,

-যাক এতদিনে আপদ বিদায় হবে বলে মনে হচ্ছে।কি বল কাব্য।

আমি কিছু বললাম না।রাতে জুইকে বললাম,

-এই শোনো কালকে আমরা ছুটিতে যাবো কক্সবাজার।তুমি তোমার কাপড় চোপড় প্যাক করে রাখিও।

-সত্যি বলছো তুমি??

-হ্যা সত্যি।

জুই খুশি হয়ে রান্না করতে চলে গেলো।বাবা আমাদের সাথে খাইনা অনেক দিন হল।আজকে আসলো খেতে।জুই আব্বার পছন্দের খাবার বানিয়েছে।বাবাতো কাল চলে যাবে তাই।বাবা নিস্তব্ধে খেয়ে চলে গেলো।তার চোখের কোণে অশ্রুগুলো ঠিকই দেখতে পেরেছিলাম।সকালে রেডি হলাম।গাড়িতে আমি,জুই আর বাবা বসে আছি।প্রথমে গেলাম জুইয়ের বাড়িতে।জুইকে বললাম,

-তোমার ব্যাগটা নাও।আর চল একটু তোমার বাবার সাথে দেখা করে আসি।

-কিন্তু ব্যাগ কেনো??

-আরে চলই না।

আমি জুইয়ের বাসায় গেলাম।বাবাও আসলো।বাবাকে নিয়ে এসেছি।সোফায় বসে আছি।জুইয়ের বাবা-মা আমাদের দেখে বলল,

-কিরে জামাই সাহেব অসময়ে যে??

-জ্বি আপনাদের জিনিষ আপনাদের বুঝিয়ে দিতে এলাম।

-আমাদের জিনিষ মানে??

-আপনাদের মেয়েকে।

পাশ থেকে জুই বলল,

-কি বলছো এসব কাব্য??

-হ্যা ঠিক বলছি।আর শুন তোর মত নিচ মেয়েকে বউ হিসেবে না রেখে।আমি সারাজীবন বউ ছাড়াই থাকবো।আর আমি ডিভোর্সের পেপার পাঠিয়ে দিব।সাথে তোর পাওনা সব টাকাও।

বাবা পাশ থেকে আমাকে থাপ্পড় দিয়ে বলল,

-ছিঃ কাব্য ছিঃ।তোকে আমি এজন্যেই মানুষ করেছি।নিজের বউয়ের সাথে কেউ এভাবে ব্যবহার করে।মাফ করবেন বেয়ান সাহেব।আমি কাব্যকে বুঝিয়ে বলবো সব।

জুইয়ের আব্বু আম্মু কিছু না বুঝে বলল,

-কাব্য বাবা কি হয়েছে খুলে বল??

বাবা হয়তো টের পেয়েছে।আমি বাবাকে বললাম,

-আব্বু তুমি গাড়িতে গিয়ে বস।আমি আসছি।

আব্বু যেতে রাজি না।বাধ্য হয়ে চিৎকার দিয়ে বললাম,

-তোমাকে যেতে বলেছি যাও।

-আব্বু চলে গেলো।

তারপর জুইয়ের আব্বু বলল,

-জামাই সাহেব কি হয়েছে??আমার মেয়ে কি ভুল করেছে??

-কাব্য আমি কি করেছি??আমি তো তোমাকে অনেক ভালবাসি।

-চুপ কর তুই।তুর মতো মেয়ের মুখে ভালবাসি শুনতেই ঘৃণা লাগে।আর হ্যা আপনাদের মেয়েকে ভুলেও আমার চোখের সামনে যেনো না দেখি।

-আমার মেয়েটা কি করেছে সেটাতো বলো,

-কি করেনি সেটা জিজ্ঞেস করেন??যেই বাবা আমাকে এতটা বছর কষ্ট করে বড় করেছে।নিজে হাজারো কষ্ট সহ্য করে আমাকে মানুষ করেছে।নিজের কষ্টগুলোকে লুকিয়ে আমাদের ভাই-বোনের সুখের জন্য লড়াই করেছে।সেই বাবাকে আপনার মেয়ে আপদ বলে।বাবা শব্দটা মানে কি সেটা আপনার মেয়ে জানেনা।ওকে শিখিয়ে দিবেন।আর হ্যা জুই তুমিও শুনে রাখো,

-আমার বাবা তোমার কাছে আপদ।কিন্তু আমার কাছে সব কিছুর উর্ধে।আমার কাছে সবচেয়ে দামী।সবচেয়ে প্রিয়।

-জুই আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,

-সরি কাব্য আমাকে ক্ষমা করে দাও।

-আমি পারবো না।ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব না।তুমি বাবাকে আপদ মনে করো তাই না।বাবাকে এত কষ্ট দেওয়ার পর কিভাবে ভাবলে আমি তোমাকে মাফ করবো।তোমার জায়গা আমার মনেতো দূরের কথা আমার পায়ের নিচেও না।

আমি চলে আসলাম।গাড়ি স্টার্ট দিলাম।বাবা আমাকে বলল,

-কিরে বউমা কয়??

-ও আজকের পর আর আসবে না।বাবা আমাকে মাফ করে দাও।আমি ভুলে গিয়েছি।ভুলে গিয়েছি তোমাকে সময় দিতে।তুমিই আমার কাছে সব।

এখন আমি আর বাবা চায়ের দোকানে বসে বসে চা খাচ্ছি।আর আড্ডা দিচ্ছি।হুমম বাবার চোখে খুশির ঝলক দেখতে পাচ্ছি।অনেকদিন পর বাবা হাসছেন।তার হাসিমাখা মুখটা দেখি না অনেকদিন হল।তাকে হাসতে দেখে মনের মাঝে এক আনন্দের ঝড় বয়ে যেতে লাগলো।বাবা ভালবাসি।অনেক ভালবাসি তোমায়।।।

সংগৃহীত - তবে ছবিটা আমার নিজের বাবার

 


মাদরাসায় পড়াকালীন সময় হুজুরের একটা কথা মনে পড়ে গেলো। ক্লাসে তিনি কথার ফাকে বলেছিলেন, কখনো খেয়াল করেছো তোমরা, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" হলো সবচেয়ে সহজ জিকির? এটা বলতে গেলে মুখের ভিতর জিহ্বা ছাড়া আর কিছুই নাড়াইতে হয়না। না দাঁত নড়ে, না ঠোঁট নড়ে। শুধু জিহ্বাটাকে উপর নিচ করতে পারলেই হয়।

হুজুরের কথা শুনে আমরা সবাই ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখলাম। আসলেই তো। শুধুমাত্র জিহ্বা ছাড়া আর কিছুই নাড়াতে হয় না। তখন আমাদের বিস্মিত মুখ দেখে বলছিলেন, আচ্ছা বলো তো, আল্লাহ তা'আলা এটার উচ্চারণ এত সহজ বানালেন কেন?

আমরা হুজুরকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন?

তিনি বললেন, মৃত্যুর আগের ভয়াবহ মুহূর্তে যখন শরীরের সবকিছু অচল হয়ে পড়ে, তখন যাতে বান্দা কোনো রকম কষ্ট ছাড়াই অনায়াসে 'লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ' বলতে পারে। এটাই কারণ। আর কিচ্ছু না।

!!!সুবহানাল্লাহ!!!

Thursday, September 3, 2020


শর্ট টার্ম মেমরি লস প্রতিরোধের ৬টি উপায়

 

সারারাত পড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে পড়া ভুলে যাওয়া, এই মাত্র পরিচিত হওয়া ব্যক্তির নামটি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে না পারা অথবা কোন বিশেষ কাজ করার জন্য মনস্থির করে রুমে গিয়ে সেই কাজটির কথাই বেমালুম ভুলে যাওয়া ইত্যাদি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত সমস্যা। এভাবে ভুলে যাওয়ার সমস্যাকে বলা হয় শর্ট টার্ম মেমরি লস বা অল্পতেই ভুলে যাওয়া।

দারুণ সব লেখা পড়তে ও নানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ঘুরে এসো আমাদের ব্লগের নতুন পেইজ থেকে!

 

শর্ট টার্ম মেমরি লস কী:

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে আমাদের মেমরি তৈরীর প্রক্রিয়া সাধারণত তিনটি ধাপে হয়ে থাকে: সেনসরি, শর্ট টার্ম, এবং লং টার্ম

সেনসরি মেমরি খুবই ক্ষণস্থায়ী। এটি শুধুমাত্র প্রায় একটি ছবি, শব্দ, বা অন্যান্য সংবেদন বজায় রাখার জন্য অনুমতি দেয়। সেনসরি মেমরির কিছু তথ্য শর্ট টার্ম মেমরি সংরক্ষণ করে এবং কিছু তথ্য মেমরি থেকে বিলীন হয়ে যায়। একে আমরা ভুলে যাওয়া বা ফরগেটিং বলে থাকি। একে মেমরি লসও বলা যায়।

লং টার্ম মেমরিতে অসংখ্য তথ্য অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। তাই এই ধাপে মেমরি লস খুব কম হয়ে থাকে।

ঘুরে আসুন: স্মৃতিশক্তিকে বশে আনার দারুণ ৫টি হাতিয়ার!

শর্ট টার্ম মেমরি মূলত ১৫-৩০ সেকেন্ড মেমরি হিসেবে স্থায়ী হয়। এরপর তথ্যগুলো কার্যকরী মেমরিতে (working memory) যায়। কার্যকরী মেমরি সাধারণত ৮০ মিনিট স্থায়ী হয়।

লংটার্ম মেমরিতে তথ্যগুলোকে একত্র করতে আমরা যদি আমাদের মস্তিষ্ককে যথাযথ কারণ না দিতে পারি তবে তা কার্যকরী মেমরি হতে মুছে যায়। শর্ট টার্ম মেমরিতে কোন তথ্যগুলো আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন তা বাছাই করা হয়। শুধুমাত্র যে তথ্যগুলো আমরা পুনরাবৃত্তি করব সেগুলোই কার্যকরী মেমরিতে যায়।

ধরা যাক, আমি একটি ফোন নাম্বার মনে রাখব। যখন আমি নম্বরটি দেখব তখন এটি ক্ষণস্থায়ী মেমরি হিসেবে জমা হয়। যতক্ষণ না আমি নাম্বারটি কোথাও লিখে রাখব অথবা এর পুনরাবৃত্তি করব ততক্ষণ পর্যন্ত এটি শর্ট টার্ম মেমরিতে থাকবে। এটা খুবই অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। এরপর এক সময় তা মেমরি থেকে বিলীন হয়ে যায়, যাকে আমরা বলি শর্ট টাইম মেমরি লস।

গবেষকদের মতে শর্ট টার্ম মেমরির স্মৃতিধারণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই নিয়মগুলো:

১। সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা:

কিছু কিছু খাবার শর্ট টার্ম মেমরির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এরকম কিছু খাবার হচ্ছে:

চকলেট: সম্প্রতি হার্ভার্ড মেডিকেলের এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে দুই কাপ পরিমান হট চকলেট মস্তিষ্কের দ্রুত রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং মেমরির কার্যক্ষমতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।

ক্যাফেইন: প্রতিদিন এক কাপ কফি শর্ট টার্ম মেমরি লস অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

পর্যাপ্ত পরিমান পানি: শর্ট টার্ম মেমরি লস এর অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। তাই দিনে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

এছাড়া খাদ্যতালিকায় চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে কারণ চিনি মস্তিষ্কে গ্লুকোজ এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যা শর্ট টার্ম মেমরিতে প্রভাব ফেলে।

২। চাই সঠিক নিদ্রা:

ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা হ্রাস পায়। ঘুমের সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না যা শর্ট টার্ম মেমরিতে তথ্য বেশি সময় স্থায়ী রাখতে সাহায্য করে।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম করা:

মস্তিষ্ককে সুস্থ এবং কার্যকর রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ও অনুশীলন করা প্রয়োজন।

ঘুরে আসুন: মনোযোগ বাড়াতে পারে যে ১০টি অনুশীলন!

৪। মেডিটেশন ও প্রার্থনা করা:

নিয়মিত প্রার্থনা বা মেডিটেশন কোন জিনিসের প্রতি ফোকাস বা দৃষ্টিক্ষমতা বৃদ্ধি করে যার ফলে মেমরি লস কম হয়।

শর্ট টার্ম মেমরিতে কোন তথ্যগুলো আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন তা বাছাই করা হয়

৫। একই সময়ে একাধিক কাজ না করা:

একই সময়ে একাধিক কাজ করলে শর্ট টার্ম মেমরি কোনটি মেমরিতে রাখবে এবং কোনটি মুছে ফেলবে তা বুঝতে পারে না। ফলে মেমরি লস হয়।

১০ মিনিট স্কুলের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে অনলাইন লাইভ ক্লাসের! তা-ও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে!

৬। Distraction থেকে দূরে থাকা:

Distraction শর্ট টার্ম মেমরি লস-এর প্রধান কারণ। যেসব কাজ মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় সেগুলোকেই বলা হয় Distraction। Distraction থেকে দূরে থাকলে শর্ট টার্ম মেমরি লস অনেকটাই কমবে। 

আশা করছি এই ৬টি উপায় মাথায় রাখলে শর্ট টার্ম মেমোরি লস থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবে তোমরা!

 



 

রসুনের রস লাগালে কি নতুন চুল গজায়?

রসুনের রস নতুন চুল গজাতে কার্যকরী। ছবি : বোল্ডস্কাই

রসুনের রস চুল পড়া কমায়, মাথার ত্বকের ইনফেকশন খুশকি দূর করে। এমনকি এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের মতো করে চুলে মাথার তালুতে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে। কারণ রসুনের রসে প্রচুর পরিমাণে এলিসিন থাকে। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ছাড়া রসুনে প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে, যা চুলকে ঘন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে

কীভাবে চুলে রসুনের রস ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে তিনটি ধাপের কথা বলা হয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে। 

প্রথম ধাপ
প্রথমে রসুন পেস্ট করে এর রস বের করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই রস সংরক্ষণ করতে পারেন। যাতে যখন প্রয়োজন তখন তেলের মতো করে এই রস চুলে ব্যবহার করতে পারেন

দ্বিতীয় ধাপ
যাদের চুল শুষ্ক তারা গোলাপজলের পানিতে চুল আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। গোলাপজল চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এবার ভালো করে চুলে মাথার তালুতে রসুনের রস লাগান। 

তৃতীয় ধাপ
রসুনের রস লাগানোর পর আধাঘণ্টা রেখে দিন। এবার চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর চুলে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগান। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।  

পরামর্শ
•    
যাঁদের চুল বেশি পড়ে, তাঁরা রসুনের রস সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন এক মাসের মধ্যে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে

•    আপনার মাথার তালুতে যদি ক্ষত থাকে, তাহলে রসুনের রস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এটি ব্যবহারে ক্ষত আরো বেড়ে যেতে পারে। 

•    রসুনের রস লাগানোর আগে যাঁদের চুল তৈলাক্ত, তাঁদের চুলে তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই