আজকে একটা মজার টেষ্ট করালম। ChatGPT এবং Google Gemini এই দুটোর মধ্যে একটা বিতর্ক প্রতিযোগীতা করলাম। দুটি টুলসের পেইড ভার্সন দিয়ে প্রথমে ChatGPT কে বল্লাম তুমি আরেকটা এআই মডেলকে টেষ্ট করার জন্য তাকে কিছু ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন করো। সেই প্রশ্নটা গুগল জেমিনির এ্যাডভান্স ভার্সনে দিয়ে তাকে বল্লাম আরেকটা মডেল তোমাকে টেষ্ট করছে ফলে তার প্রশ্নর উত্তর দিয়ে তাকে একটা ক্রিটিক্যাল কাউন্টার প্রশ্ন কর। জেমিনির উত্তর কপি করে জিপিটিকে দিয়ে বল্লাম এটার উপর রিফ্লেকশন দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করতে। এভাবে চলতে থাকল অনেকক্ষন, শেষে জিপিটি একটা এরর দিয়ে রেসপন্স বন্ধ করল।
দুটি জায়ান্ট এআই মডেলের এই বাহাসে আমি যা যা দেখলাম:
# টেক্সট জেনারেট করাতে এখনো চ্যাটজিপিটি জেমিনির থেকে এগিয়ে তবে সমস্যা হল, ঘুরে ফিরে একই টাইপের কথা বার্তা।
# জেমিনির টেক্সট জেনারেশন খুব দ্রুত তবে এটির রেসপন্স খুব সংক্ষিপ্ত, অনেকসময় পরিস্কার কোন সেন্স মেক করে না।
# ২০ মিনিট ধরে এই এক্সপেরিমেন্টে কয়েক হাজার শব্দের টেক্সট এরা তৈরি করেছে তবে বেশিরভাগই রিগোরাস না, ঘুরে ফিরে খুবই সুপারফিসিয়াল লেভেলের কথা, তবে লেখার কোয়ালিটি খুব ভাল হওয়াতে বিরাট কিছু মনে হলেও আদতে ভেতরে তেমন কোন জিনিস নেই। ফেক বা ছ্যাচড়া গবেষকদের মত এক কথা ত্যানায় পেচিয়ে আর্টিকেল বড় করার মত।
# দুই মডেলের আলোচনা যত সামনে এগোতে থাকল ততই তাদের জেনারেট করা টেক্সট অর্থহীন হতে থাকলো। এমনকি সর্বশেষ রেস্নপসটি জাষ্ট গার্বেজ লেখা, প্রচুর টেক্সট কিন্তু তার কোন প্রকৃত অর্থ নেই, সারমর্ম নেই।
পরিশেষে, মানুষের ভার্বাল বা নন-ভার্বাল যে কোন কমিুইনকেশন যে কোন লেখাতে মানবিক ইমোশনের প্রভাব থাকে। এমনকি মানুষ একটা চিঠি লিখলেও সেটাতে ইমোশন থাকে। আর মানুষের এই ইমোশন অত্যন্ত জটিল যা এআই দিয়ে আপতত ‘তুমসে নেহি হো পায়েগা‘
0 comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.